যোগমার্গ

যোগমার্গ
ভারতীয় ঋষিরা যোগশাস্ত্রের চর্চার কয়েকটি পথের কথা উল্লেখ করেছেন। এই পথগুলিকে যোগমার্গ বা মার্গ বলা হয়। এর সংখ্যা নিয়ে মতান্তর আছে। সাধারণত যে যোগমার্গগুলির নাম পাওয়া যায়, সেগুলি হলো―

যষ্টি আসন

যষ্টি আসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত একটি আসন বিশেষ। এই আসনে দেহভঙ্গিমা লাঠির মতো হয় বলে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।

শীর্ষপদাসন

শীর্ষপদাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। মাথায় পা রেখে শীর্ষাসন  ভঙ্গিমাই হলো শীর্ষপদাসন। এটি শীর্ষাসনের একটি বর্ধিত প্রকরণ বিশেষ।

মরিচ্যাসন

মরিচ্যাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে― মরীচি ছিলেন সপ্তর্ষির মধ্যে একজন এবং দশম প্রজাপতির অন্যতম ব্রহ্মার মানস পুত্র এই ঋষির নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে মরীচ্যাসন (মরীচি + আসন)। এই আসনের বিভিন্ন প্রকরণ রয়েছে নিচে প্রকরণগুলো পরপর তুলে ধরা হলো।

মকরাসন

মকরাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এর সমার্থগুলো হলো-মৎস্য বিশেষ, মদনদেবতার পতাকা, গঙ্গার বাহন ইত্যাদি শায়িত অবস্থায় মকর নামক মাছের মতো দেখায় বলে, এই আসনের নাম রাখা হয়েছে মকরাসন (মকর + আসন)।

বদ্ধ পরিবৃত্ত কোণাসন

বদ্ধ পরিবৃত্ত কোণাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এটি কোণাসনের একটি প্রকরণ। পা-কে আবদ্ধ করে কোণাসন তৈরি করে, শরীরকে মোচড় দিয়ে ঘোরানো হয় বলে, এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।

অধমুখ বীরাসন

অধমুখ বীরাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত একটি আসন বিশেষ। মাটির দিকে মুখ রেখে বা মাটির সাথে মুখ রেখে এই আসন করা হয়। তবে এই সময় বীরাসনে অবস্থানকে ধরে রাখা হয় না। এই আসনের সাথে অনেকাংশে মিল রয়েছে অর্ধকূর্মাসনের। এই আসনটিকে অনেকে মুধাসনও বলে থাকেন।

ভুজঙ্গাসন

ভুজঙ্গাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। ভুজঙ্গ-এর অনেক সমার্থের ভিতর একটি অর্থ হলো সাপ। এই আসনের দেহ ভঙ্গিমা সাপের মতো দেখায় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে ভুজঙ্গাসন (ভুজঙ্গ +আসন)। এর বর্ধিত প্রকরণ পূর্ণ-ভূজঙ্গাসন।

ভেকাসন

ভেকাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।
ভেক শব্দের অর্থ হলো― ব্যাঙ। ব্যাঙের ভঙ্গিমা থেকে, এই আসনের নামকরণ করা হয়েছে ভেকাসন (ভেক + আসন)। এই আসনের ভঙ্গিমা নিয়ে একটু বিতর্ক আছে এখানে কমগ্রহণযোগ্য আসনটিকে মতান্তরিত পদ্ধতি হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে এর কিছু বর্ধিত আসন রয়েছে এগুলো হলো- অর্ধ ভেকাসন, সুপ্তভেকাসন।

মৎস্যাসন

মৎস্যাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।

মৎস্য শব্দের এর সমার্থ হলো-মাছ। মৎস্য + আসন। এর অন্যান্য প্রকরণগুলো হলো- অধমুখ-মৎস্যাসন, বিপরীত মৎস্যাসন।

সঙ্কটাসন

সঙ্কটাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এর সাধারণ অর্থ হলো― সংকীর্ণ, অভেদ্য,  আপদ-জনক, নিবিড়। এই  আসনে দেহকে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত করে উপস্থাপন করা হয় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে সঙ্কটাসন (সঙ্কট +  আসন।

বিপরীত পরিবৃত্ত কোণাসন

বিপরীত পরিবৃত্ত কোণাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এটি কোণাসনের একটি প্রকরণ। উর্ধ্বদিকে পা রেখে- পা ঘুরিয়ে কোণাসন তৈরি করা হয়, বলে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। শীর্ষাসনে আসীন হয়ে এই আসন করা হয়। এই কারণে একে শীর্ষাসনের একটি প্রকরণ হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।

পদ্ধতি
১. প্রথমে শীর্ষাসনে আসীন হন
২. এরপর পা দুটো প্রসারিত করে কোণ সৃষ্টি করুন।
৩. এবার প্রসারিত পা দুটো একটু ঘুরিয়ে স্থির হন।
৪. এবার এইভাবে ১০ সেকেণ্ড অবস্থান করুন এরপর ধীরে ধীরে পা দুটো বিপরীত দিকে ঘুরান এরপর আসন ত্যাগ করে ২০ সেকেণ্ড শবাসনে বিশ্রাম নিন এরপর পুরো আসনটি আরও দুই বার করুন।

বৃষাসন

বৃষাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। গতিময় ষাঁড়ের রূপ পাওয়া যায় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে বৃষাসন (বৃষ + আসন)।

স্কন্দাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার এক প্রকার আসন। হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র স্কন্দের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে স্কন্দাসন (স্কন্দ +  আসন)।

শলভাসন

শলভাসন


চিত্র : আব্দুল মালেক

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।

শলভ =শল্ (গমন করা) + অভচ্ কর্তৃবাচ্য। শলভ শব্দের অর্থ ফড়িং। এই আসনে পায়ের অবস্থান ফড়িংয়ের পুচ্ছের মতো দৃশ্যমান হয় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে শলভাসন (শলভ +আসন)। এর দুটি বিকল্প আসন আছে। এ দুটো হলো— অর্ধ-শলভাসন ৯-কারাসন, বিপরীত শলভাসন, পূর্ণ-শলভাসন, ও সলম্বা শলভাসন । এই বিচারে শলভাসন-কে সাধারণ শলভাসন বলা যেতে পারে।

মণ্ডূকাসন

মণ্ডূকাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। মণ্ডূক-এর সমার্থ হলো-ব্যাঙ ব্যাঙের মতো উপবেশন ভঙ্গি অনুসারে এই আসনের নামকরণ করা হয়েছে মণ্ডূকাসন (মণ্ডূক + আসন)।

বালখিল্যাসন

বালখিল্যাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে হাতের বুড়ো আঙুলের পর্বের মতো লম্বা ৬০ হাজার ঋষির দলগত নাম ছিল বালখিল্য। এই ঋষির গোষ্ঠীর নামানুসারে এই আসনের নামকরণ করা হয়েছে বালখিল্যাসন (বালখিল্য + আসন)।

বদ্ধ ভটনাশন

বদ্ধ ভটনাশন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এটি ভটনাসন-এর বদ্ধ ও ঘূর্ণন রূপ।  ভটনাসনের বদ্ধরূপ হিসাবে চিহ্নিত হলেও, এই আসন ভটনাসনের ভঙ্গির সাথে বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এর মূল পার্থক্য হলো― এই আসনে মাথা পায়ের কাছাকাছি রাখা হয়।

লোলাসন

লোলাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। লোল শব্দের অনেক অর্থের ভিতর একটি অর্থ হলো- চালিত। হাতের উপর ভর করে শরীর দোলায়িত করার ভঙ্গিমা থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে লোলাসন (লোল + আসন)।

মূলবন্ধাসন

মূলবন্ধাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত একটি আসন বিশেষ। এই আসনের অনুশীলনে শরীরের মূল গ্রন্থি ও স্নায়ুকে সুস্থ ও সক্রিয় করে বলে, এর নামকরণ করা হয়েছে মূলবন্ধাসন (মূলবন্ধ +আসন)।

পদ্ধতি
১. দণ্ডাসনে উপবেশন করুন।
২. এবার দুই পায়ের হাঁটু ভাজ করে, দুই পায়ের পদতল এক করুন এবার দুই পায়ের গোড়ালি উপরে তুলে ধরুন এবং পায়ের অগ্রভাগ মাটিতে স্থাপন করুন।
৩. এবার হাত দুটো উরুর দুই পাশে স্থাপন করুন এক্ষেত্রে হাতের আঙুলগুলো পিছনের দিকে প্রসারিত করুন।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেকেণ্ড স্থির হয়ে থাকুন।
৫. এরপর ২০ সেকেণ্ড শবাসনে বিশ্রাম নিন।
৬. এরপর আসনটি আরও দুইবার করুন

সুপ্তবদ্ধ-কোণাসন

সুপ্তবদ্ধ-কোণাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। কোণাসনের একটি প্রকরণ বিশেষ। শায়িত অবস্থায় কোণাসন তৈরি করা হয় বলে- এই  আসনের নামকরণ করা হয়েছে সুপ্তবদ্ধ কোণাসন।

মুক্তাসন

মুক্তাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।

পদ্ধতি
১. প্রথমে দুই পা প্রসারিত করে হাঁটু মুড়ে বসুন এই সময় দুই পায়ের মধ্যে আপনার  নিতম্ব ভূমি স্পর্শ করে থাকবে
২. শ্বাস গ্রহণ করতে করতে, আপনার শরীরের দুই পাশে দুই হাত আনুভূমিকভাবে প্রসারিত করুন।
৩. শ্বাস ত্যাগ করুন এবার শ্বাস গ্রহণ করতে করতে দুই হাতের আঙুলগুলো নাকের দুই পাশে প্রসারিত করুন এক্ষেত্রে উভয় হাতের আঙুলগুলো দ্বারা যোনি মুদ্রা তৈরি হবে এবং উক্ত মুদ্রার ভিতরে আপনার মুখমণ্ডল ধারণ করতে হবে।
৪. ২০ সেকেণ্ড এই অবস্থায় স্থির থাকুন এই সময় যোনিমুদ্রার নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে হবে।

যোগদ্বন্দ্বাসন

যোগদ্বন্দ্বাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত একটি আসন বিশেষ। এই আসনের নাম যোগদ্বন্দ্বাসন নামে অভিহির কেন করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

ভটনাসন

ভটনাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এর বর্ধিত প্রকরণগুলো হলো― বদ্ধ পরিবৃত্ত-ভটনাসন, বদ্ধ ভটনাসন, সুপ্তভটনাসন।

পদ্ধতি
১. প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
২. এরপর ডান হাঁটু ভাজ করে, এর হাঁটু মাটিতে রাখুন বাম পাকে সামনের দিকে ভাঁজ করে এর পাতা মাটির উপর রাখুন।
৩. এবার ডান পায়ের উর্ধাংশ উপরের দিকে তুলে বাম পায়ের উরুর উপর রাখুন।
৪. এবার মেরুদণ্ড সোজা করে, দুই হাত বুকের কাছে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে রেখে ২০ সেকেণ্ড স্থির হয়ে থাকুন এরপর পা বদল করে আসনটি আবার করুন।
৫. এরপর আসন ত্যাগ করে শবাসনে বিশ্রাম করুন

বিপরীতকরণী মুদ্রা

বিপরীতকরণী মুদ্রা

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার মুদ্রা। দেহকে বিপরীতমুখী অবস্থানে এনে এই মুদ্রার চর্চা করা হয়। এই কারণে একে বিপরীতকরণী মুদ্রা বলা হয়।

পদ্ধতি
১. প্রথমে সর্বাঙ্গসন করে দেহকে স্থির করুন।
২. ৩০ সেকেণ্ড এই আসনে থাকা অবস্থায় মলদ্বারকে সঙ্কুচিত ও প্রসারিত করুন। এক্ষেত্রে মলদ্বার সংকোচন ও প্রসারণ ৬ বার করে বিরতী দিন। এইভাবে ৩০ সেকেণ্ডে যে কয় বার সম্ভব করুন।
৩. এবার আসন ত্যাগ করে, ৩০ সেকেণ্ড শবাসনে বিশ্রাম নিন। এই ভাবে আরও দুইবার এই আসনের সাথে এই মুদ্রার চর্চা করুন।

মাৎস্যেন্দ্রাসন

মাৎস্যেন্দ্রাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।

 

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এই আসনটি অনেকটা মৎস্যকুমারীর মতো দেখায়। এই আসনটি বেশ কষ্টসাধ্য। তাই ধীরে ধীরে এর চর্চা করে অভ্যস্থ হতে হয়। নিচের তিনটি চিত্রে এর অনুশীলনের রূপ দেখানো হলো। এর অর্ধৃরূপের নাম অর্ধমাৎস্যেন্দ্রাসন, এবং পূর্ণরূপের নাম পূর্ণ-মাৎস্যেন্দ্রাসন।


পদ্ধতি

বৃক্ষাসন

বৃক্ষসন মানে গাছের মতো ভঙ্গি করা। এই আসন উঠে দাঁড়িয়ে কাজ করা হয়। নটরাজ ভঙ্গির মতো এই আসনটি শারীরিক ভারসাম্যের জন্যও খুব উপকারী।

শীর্ষাসন

শীর্ষাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। মানবদেহের শীর্ষ স্থান হলো মাথা। মাথার উপর ভর করে এই দেহভঙ্গী রচনা করা হয় বলে এর নাম শীর্ষাসন (শীর্ষ + আসন) রাখা হয়েছে।

এই আসনের অর্ধরূপটি নামে পরিচিত। এই আসনের বর্ধিত প্রকরণগুলো হলো ―অর্ধ-শীর্ষাসন, একপদ শীর্ষাসন, একপদ পার্শ্ব শীর্ষাসন, নিরাবলম্ব শীর্ষাসন, পরিবৃত্ত বজ্র শীর্ষাসন, বিপরীত পরিবৃত্ত কোণাসন, শীর্ষ-পদাসন, সলম্বা শীর্ষাসন।
 

বুদ্ধাসন

বুদ্ধাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। বুদ্ধ শব্দের অর্থ জ্ঞাত। জ্ঞান বিকাশের আসন হিসাবে এই আসনের নাম রাখা হয়েছে বুদ্ধাসন (বুদ্ধ + আসন)।

ভুজপীড়াসন

ভুজপীড়াসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। ভুজ (বাহু) কে নিপীড়ন করে এই আসন করা হয় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে- ভুজপীড়াসন (ভুজপীড়া + আসন)।

সুপ্তভেকাসন

সুপ্তভেকাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এটি ভেকাসনের বিপরীত ভঙ্গিমা। মূল ভেকাসন করা হয়, মাটির দিকে মুখ করে। কিন্তু এই  আসন করা হয়  আকাশের দিকে মুখ করে।

সুপ্তভদ্রাসন

সুপ্তভদ্রাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। শুয়ে থাকা অবস্থায় ভদ্রাসন করার ভঙ্গিমা হিসাবে এর নামকরণ করা হয়েছে সুপ্তভদ্রাসন (সুপ্ত-ভদ্র +  আসন)। মূলত এই  আসনের দেহ  ভঙ্গিমার সাথে ভদ্রাসনের তেমন মিল পাওয়া যায় না। 

রাজকপোতাসন

রাজকপোতাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এর বর্ধিত প্রকরণ হলো― একপদ রাজকপোতাসন, পরিবৃত্ত একপদ রাজকপোতাসন।

যোগনিদ্রাসন

যোগনিদ্রাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত একটি আসন বিশেষ। যোগনিদ্রার উপযোগী আসন হিসাবে এর নামকরণ করা হয়েছে যোগনিদ্রাসন (যোগনিদ্রা +আসন)।

শিরাসন

শিরাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। আসনের সময় পা যদি মাথার কোনো অংশকে স্পর্শ করে, তখন তাকে শিরাসন বলা হয়। তবে সকল আসনের ক্ষেত্রে শিরাসন শব্দটি ব্যবহৃত হয় না। যেমন - রাজকপোতাসন বা একপদ রাজকপোতাসন এর মতো আসনে শিরাসনের উল্লেখ করা হয় না।

শিরাসন

সিদ্ধাসন

সিদ্ধাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। পরিবৃত্ত শব্দের অনেকগুলো অর্থের একটি হলো―ঘূর্ণিত।

সিদ্ধিলাভের ভাবগত অর্থ থেকে এই  আসনের নামকরণ করা হয়েছে সিদ্ধাসন (সিদ্ধ +  আসন)। এই  আসনের বর্ধিত প্রকরণটি পরিবৃত্ত সিদ্ধাসন নামে পরিচিত।

বিড়ালাসন

বিড়ালাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। বিড়ালের অঙ্গভঙ্গি অনুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে বিড়ালাসন (বিড়াল + আসন)। এই আসনের অপর নাম হলো মার্জারাসন (মার্জার + আসন)। উল্লেখ্য, সংস্কৃত মার্জার শব্দের অর্থ হলো বিড়াল।

সুখাসন

সুখাসন : সুখ শব্দের সাধারণ অর্থগুলো হলো- হর্ষ, আনন্দ, প্রীতি, স্বাচ্ছন্দ্য, স্বস্তি, তৃপ্তি ইত্যাদি। স্বাচ্ছন্দ্য থাকা যায় এমন ভাবগত অর্থ থেকে এই আসনের নামকরণ করা হয়েছে সুখাসন (সুখ + আসন)।

বালাসন

বালাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। বাল শব্দের একাধিক অর্ধ রয়েছে। এখানে বাল শব্দটি বালক সমার্থে গৃহীত।

শবাসন

শবাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।  শবের (মৃতদেহ) ভঙ্গিমায় এই  আসন করা হয় শবলে, এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।

ব্যাঘ্রাসন

ব্যাঘ্রাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এই আসনে দেহের সম্মুখাংশে বাঘের হামা দেওয়া রূপটির সাথে কিছুটা মিল পাওয়া যায় সেই কারণেই হয়তো এর নামকরণ করা হয়েছে ব্যাঘ্রাসন (ব্যাঘ্র + আসন)।

সুপ্তভটনাসন

সুপ্তভটনাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। ভূমির দিকে অবনমিত হয়ে ভটনাসন করা হয়― বলে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এই কারণে একে ভটনাসনের একটি বর্ধিত আসন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

সমকোণাসন

সমকোণাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। পা-কে প্রসারিত কতে সরল করে উপস্থাপিত করা হয়। জ্যামিতির সূত্র অনুসারে পা দুটির কৌণিক অবস্থান হয় দুই সমকোণের সমান। তারপরে একে সমকোণাসন বলা হয়েছে। এটি কোণাসনের একটি প্রকরণ।

সর্বাঙ্গাসন

সর্বাঙ্গাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার এক প্রকার আসন। সর্বাঙ্গ=সর্ব + অঙ্গ। শরীরের সকল অঙ্গ এই আসনে যুক্ত করা হয় বলে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এর বর্ধিত প্রকরণ পার্শ্ব-সর্বাঙ্গাসন।

সুপ্তবজ্রাসন

সুপ্তবজ্রাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। শুয়ে থাকা অবস্থায় বজ্রাসন করার ভঙ্গিমা হিসাবে এর নামকরণ করা হয়েছে সুপ্তবজ্রাসন (সুপ্ত-বজ্র +  আসন)। মূলত এই  আসনের দেহ  ভঙ্গিমার সাথে বজ্রাসনের তেমন মিল পাওয়া যায় না। 

সলম্বা সুপ্তবদ্ধকোণাসন

সলম্বা সুপ্তবদ্ধকোণাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। লম্বমান হয়ে শায়িত অবস্থায় কোণাসন তৈরি করা হয় বলে এই  আসনের নামকরণ করা হয়েছে সলম্বা সুপ্তবদ্ধ কোণাসন।

ময়ূরাসন

ময়ূরাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।
ময়ূর নামক পাখির দেহভঙ্গিমা অনুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। ময়ূরাসন (ময়ূর + আসন) এর বর্ধিত আসনগুলো হলো- অর্ধবদ্ধপদ্ম-ময়ূরাসন, একহস্ত ময়ূরাসন, পদ্ম-ময়ূরাসন ।

হলাসন

হলাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এই আসনে দেহ ভঙ্গিমা হল (লাঙ্গল)-এর মতো দেখায় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে হলাসন (হল + আসন। এর বর্ধিত প্রকরণগুলো হলো― নিরালম্ব হলাসন, পার্শ্ব-হলাসন, সলম্বা হলাসন।

সেতুবন্ধাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার এক প্রকার আসন। দেহকে উপরে তুলে সেতুর ভঙ্গিমা দেওয়া হয় বলে, এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এর বর্ধিত প্রকরণটি পার্শ্ব-সেতুবন্ধাসন নামে পরিচিত।

বীরাসন

বীরাসন
যোগশাস্ত্রের একটি আসন। বীর শব্দেরএর সমার্থ হলো—শৌর্য-বীর্য সম্পন্ন। বীর + আসন। শৌর্য-বীর্য ধারণকারী নায়কের মতো স্থির সংকল্পে আসীন রয়েছে, এমন ভঙ্গিমা দ্বারা এই আসনে প্রতীয়মান হয়। যদিও নামানুসারে একে পুরুষদের আসন মনে হয়, কিন্তু এই আসন সবার জন্যই প্রযোজ্য। এর বর্ধিত প্রকরণগুলো হলো― অধমুখ বীরাসন, সুপ্তবীরাসন।

কোবরা পোজটি সম্পাদনের জন্য সঠিক কৌশল

হ্যালো প্রিয় পাঠকগণ, আপনাকে আবার দেখতে পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। আজ আমরা হাথ যোগে অন্যতম প্রধান আসনের সাথে দেখা করব। একে "কোবরা পোজ" বা "ভুজঙ্গাসন" বলা হয়। আপনি কীভাবে আসনটি সঠিকভাবে সঞ্চালন করবেন, এটি কীভাবে শরীরকে প্রভাবিত করবে, এই পোজটি সম্পাদন করার পরামর্শ দেওয়া হয় না, নতুনদের কীভাবে এই অবস্থানটি করা উচিত।

বসিষ্ঠাসন

আক্ষরিক অর্থ "সবচেয়ে দুর্দান্ত, সেরা, ধনী" হ'ল বশিষ্ঠ যোগ traditionতিহ্যের অনেক বিখ্যাত সাধুদের নাম। ভারতের অন্যতম সম্মানিত সাধক হিসাবে বিবেচিত হয়। Vasষি বসিষ্ঠ হলেন সপ্তরশি মণ্ডলের ageষি। তিনি vedগ্বেদ মণ্ডলের সর্বাধিক বিশিষ্ট এবং প্রধান লেখক। Vasষি বসিষ্ঠের কামধেনু নামে একটি গরু ছিল। গরুটির নন্দিনী নামে একটি বাছুর ছিল। এই গরুটির divineশিক শক্তি ছিল এবং সে Vasষি ভাসিষ্ঠকে খুব ধনী করেছিল। অতএব বশিষ্ঠের আসল অর্থ সমৃদ্ধ।

এই আসন উপরের দেহকে (বুক, পেট এবং কাঁধ) শক্তিশালী করে এবং এতে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে।

বসিষ্ঠাসন সম্পাদনের পদ্ধতি: -

সুপ্তবীরাসন

সুপ্তবীরাসন : যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। শুয়ে থাকা অবস্থায় বীরাসন করার ভঙ্গিমা হিসাবে এর নামকরণ করা হয়েছে সুপ্তবীরাসন (সুপ্ত-বীর +  আসন)।